আগামী অর্থবছরের বাজেট দেশের দরিদ্র মানুষের জন্য নিবেদিত থাকবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
দরিদ্রদের নিয়ে চালানো দুটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জরিপের বিষয়ে তুলে ধরে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘গরিব মানুষের জন্য আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে তাদেরকে গরিব থেকে বের করে নিয়ে আসা। যারা অতিরিক্ত গরিব আছে তারা গরিব হবে এবং যারা গরিব আছে তাদেরকে আমরা মূলস্রোতধারায় নিয়ে আসব। সেভাবেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আর গবেষণা করে যদি তারা কোনো তথ্য দিয়ে থাকে সেটা পরিসংখ্যান ব্যুরো দেখবেন। তাদের অ্যাসেসমেন্টে আমরা গ্রহণ করব। সেটা এখনো তৈরি হয়নি, হলে আমরা অবশ্যই আপনাদের জানাবো।’
দরিদ্রদের মূলস্রোতে আনতে বাজেটে বড় একটি বরাদ্দ দরকার, সেক্ষেত্রে নতুন করে সামাজিক সুরক্ষাখাতে বাড়তি কোনো বরাদ্দ রাখবেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের আগামী বাজেট নিবেদিত থাকবে এ দেশের দরিদ্র মানুষের জন্য। এরাই অগ্রাধিকার পাবে। সুতরাং আমরা ’মানুষের জীবন-জীবিকার জন্য বাজেটে জায়গা করে দেবো।’
গতবছর দরিদ্রদের অর্থ বিতরণে গোলমাল হয়েছে, এবছর ৩৫ লাখ মানুষকে আড়াই হাজার টাকা করে দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত কী জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মিসম্যাচটা হওয়ার কারণ হলো- আমাদের যেসব প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বা পিছিয়েপড়া জনগণের কথা বলছেন, তাদের যে আইডিটাকার্ড বা মাধ্যম রয়েছে সেখানে সরাসরি ট্রান্সফার করে দেই। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সেটি ট্রান্সফারের উপযুক্ত থাকে না। সেজন্য একটু বিলম্ব হয়। কিন্তু আমরা কাজগুলো করছি। যাদেরকে আমরা আড়াই হাজার টাকা করে দেবো, সরকারের সিদ্ধান্ত হচ্ছে এই টাকা সরাসরি ট্রান্সফার করা। সরাসরি ট্রান্সফার করতে গেলে সিস্টেম ডেভেলপ করতে হবে। আর একবার যদি সিস্টেমে চলে আসে তাহলে ভবিষ্যতে এর চেয়ে সহজ কাজ আর হবে না। তখন আমরা কম সময়ে অনেক বেশি কাজ করতে পারব।’
প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন সুতরাং এই আড়াই হাজার টাকা বিতরণের কাজ শিগগির শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়টি অনুমোদন হয়েছে, সর্বশেষ দুইটি মিটিংয়ে একই বিষয় উঠে বাতিল হয়েছিল, সে বিষয়ে জানতে চাইলে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আগে আমরা বাতিল করিনি। যে শর্তগুলো ছিল সেগুলো আমরা পূরণ করে নিয়ে এসেছি। এগুলো একই প্রকল্প। আগেরগুলোর সঙ্গে দেখলে বোঝা যাবে বিভিন্ন জিনিস এনে যুক্ত করতে হয়েছে। যেসব মহাসড়কে আমাদের পরিবহনের জন্য এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব এসেছিল সেগুলো একটার পর একটা অনুমোদন হচ্ছে। একই জিনিসগুলো আসছে।’
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের সঙ্কট রয়েছে বলে গণমাধ্যমে এসেছে, আজ বৈঠকে ভ্যাকসিনের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কিছু বলেছেন কি-না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যে প্রস্তাব এসেছিল ১৩ হাজার ৮৮১টি কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য আমরা এসেনসিয়াল ড্রাগস থেকে ওষুধ কিনব। এর বাইরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করি নাই এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রকল্পও আমাদের সামনে আসেনি।’